ফরেক্স
হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি একটি দেশের
কারেন্সি বিক্রয় করে আর একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন।
উদহারণসরুপ,
আমেরিকা বা USA এর কারেন্সি হছে ডলার, ব্রিটেন বা UK এর কারেন্সি হচ্ছে
পাউন্ড। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ডলার বিক্রয় করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড
বিক্রয় করে ডলার কিনতে পারেন। ডলার অথবা পাউন্ড ব্যাতিতও আর বিভিন্ন দেশের
কারেন্সি আছে যা ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
বিভিন্ন
দেশের মুদ্রা সর্বদায় পরিবরতনশিল। আপনি পত্রিকায় দেখে থাকবেন যে কখনও
কখনও ডলার টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে, আবার কখনও টাকা ডলার এর বিপরীতে
শক্তিশালী হচ্ছে। এরকম পৃথিবীর অধিকাংশ মুদ্রার বিপরিতেই হয়। সুতরাং,
আপনার যদি ডলার কেনা থাকে, ডলারের বিপরীতে ইউরো এর দাম পরে গেলে আপনি ডলার
বিক্রয় করে ইউরো কিনে রাখতে পারেন। আবার, ইউরো ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী
হলে, ইউরো বিক্রয় করে অধিক ডলার পেতে পারেন।
হয়ত
আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিলো যা বিক্রয় করে আপনি ৮০ ইউরো ক্রয় করেছিলেন।
পরবর্তীতে ইউরোর দাম বাড়ার পর তা বিক্রয় করে ১২০ ডলার পেলেন। এভাবে আপনি
আয় করতে পারেন। শেয়ার মার্কেট এ শুধু শেয়ার এর দাম বাড়লেই (buy) আমরা
প্রফিট করতে পারি। কিন্তু ফরেক্স মার্কেট এ, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা
দুর্বল হক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে যেটা ফরেক্স
মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা।
ফরেক্স ট্রেড
-
আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড
করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন
ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে
কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে।
-
মাত্র ১ ডলার দিয়ে ফরেক্স ট্রেড শুরু করা সম্ভভ। তাছারা প্রায় সব
ব্রোকারই আপনাকে ফ্রী ডেমো ট্রেড করার সুবিধা দেবে, অর্থাৎ ভার্চুয়াল মানি
দিয়ে। তাই প্রথমে আপনি ডেমো ট্রেড করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন
এবং ডেমো ট্রেড করে সাফল্য ফেলে ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারেন।
-
ফরেক্স মার্কেট পরিধি অনেক বড় এবং এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভভ
না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক মার্কেট হচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট এবং
ফরেক্স মার্কেটের আকার তার থেকেও ২৫ গুন বেশি। মনে রাখবেন,ডলার বা ইউরো এর
মূল্য কোন দেশের মূল্য কোনো দেশের সরকার নির্ধারণ করে দেয় না। বিভিন্ন
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের
মুদ্রার মূল্য নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয়। আপনি যে দামে ডলার বা ইউরো
কিনবেন, সেই একই দামে পৃথিবীর সব দেশে ডলার বা ইউরো ক্রয়-বিক্রয় হবে।
-
ফরেক্স মার্কেট এ ট্রেড করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিভারেজ বা লোন সুবিধা
পাওয়া যায়, আর তাই খুব অল্প মার্কেট মুভমেন্ট থেকেই আপনি ভাল প্রফিট করতে
পারবেন।
-
স্ক্যালপিং ফরেক্স এ খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। এর মানে হচ্ছে খুব অল্প
সময়ের জন্য খোলা ট্রেড। ফরেক্স মার্কেটের খুব অল্প পরিবর্তনেও ভাল লাভ করা
সম্ভভ। অনেকেই ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটি ট্রেড ওপেন করে এবং প্রফিট
পেলে তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যায়।
-
ফরেক্স মার্কেট সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহের ৫ দিনই দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টার
জন্য খোলা থাকে। আর তাই, আপনি ব্যাবসায়ি হোন বা চাকুরিজীবী, ফরেক্স
মার্কেটে আপনি আপনার সুবিধামত ট্রেড করতে পারবেন।
- ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন।
-
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য আপনাকে সব কিছু অনলাইনে করতে হবে আর
অ্যাকাউন্ট ওপেনিং থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট বা উইথড্র করাও অনেক
সহজ।
-
আপনি যদি ভাল ট্রেড করতে পারেন, তাহলে অনেকেই আপনার সাথে ডিপোজিট করতে
উৎসাহিত হবে এবং সেক্ষেত্রে আপনি তাদের ট্রেড পরিচালনা করতে পারেন এবং
তাদের লাভের একটি অংশ আপনি পাবেন।
- সর্বোপরি একজন সফল ও দক্ষ ফরেক্স ট্রেডার এই মার্কেট থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন।
উল্লেখ
করা বাঞ্ছনীয়, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট
সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে
হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক
আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই
চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও
অনেকেও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে, এক্সপার্ট হওয়া
ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
আর
একটি কথা, ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। কারন স্টক মার্কেটে আপনি
শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন।
ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য কি কি দরকার?
আপনার ইন্টারনেট কানেকশনসহ একটি পিসি অথবা উইন্ডোজ মোবাইল আছে? তাই যথেষ্ট।
আমি কিভাবে ডলার অথবা অন্যান্য মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করব?
ফরেক্স
ট্রেড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো একটি ফরেক্স ব্রোকারের সাথে
অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে ও তাতে ডিপোজিট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুব সহজেই ২
মিনিটে অনলাইনে ওপেন করা যায়। আপনি বিভিন্ন অনলাইন মুদ্রা যেমন স্ক্রিল ,
নেটলার , ওয়েব মানি ইত্যাদি দিয়ে তাৎক্ষণিক আপনার আকাউন্টে ডিপোজিট করতে
পারেন ও ফরেক্স ট্রেড করা শুরু করতে পারেন।
তবে
ভিন্ন দেশে সাধারনত অধিকাংশ মানুষই ব্যাংক এর মাধ্যমে ফরেক্স ব্রোকারদের
সাথে ডিপোজিট করে। সেক্ষেত্রে, অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর পরে, আপনি আপনার
ব্রোকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ব্যাংক ডিপোজিটের বিস্তারিত তথ্য
পাবেন।
আপনার
অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট সম্পন্ন হলে আপনি ট্রেড করা শুরু করতে পারবেন। ফরেক্স
ট্রেডিং অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে হয়। এই সফটওয়ার আপনি
বিনামূল্যে আপনার ব্রোকারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ব্রোকার প্রদত্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাতে
সাইন ইন করলেই বিভিন্ন পেয়ারের চার্ট ও মূল্যতালিকা লোড হবে এবং আপনি
আপনার ট্রেড ওপেন/ক্লোজ করতে পারবেন।
Skype = jannat.rakhi2
আমরা
যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি , একটি
প্রতিস্থানের শেয়ার কেনার মত। কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং
ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।
যখন
আমরা জাপানিজ ইয়েন কিনি (buy), আমরা মুলত জাপানি অর্থনীতিতে একটি শেয়ার
কিনি। আমরা মনে করি জাপানি অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও
উন্নতি হবে। যখন আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি (sell) করে দেব, আশা করি আমরা
লাভ করব।
সাধারণে, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদান হার সেই দেশটির অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন।
Major Currencies see chart below:
কারেন্সি চিহ্নের তিনটি অক্ষর থাকে, যেখানে প্রথম দুইটি দেশের নাম নির্দেশ করে এবং তৃতীয়টি সেই দেশটির কারেন্সির নাম নির্দেশ করে।
যেমন NZD এর ক্ষেত্রে, NZ দিয়ে New Zealand বোঝানো হয়েছে, এবং D দিয়ে Dollar বোঝানো হয়েছে। সহজ, তাইনা?
উপরের কারেন্সিগুলো প্রধান কারন সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।
Buck হল USD'র ডাক নাম।
USD-কে
greenbacks, bones, benjis, benjamins, cheddar, paper, loot, scrilla,
cheese, bread, moolah, dead presidents, coco and cash money নামেও ডাকা
হয়।
ফরেক্স মার্কেটের সাধারন শিক্ষাঃ
কারেন্সি পেয়ার:
শেয়ার
মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে
নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য
টাকায় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন
দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন
মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়।
এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া
সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০
ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?
এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়।
যেমন
ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD =
1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। ওহ, বলতে
ভুলে গেছি, USD = United States Dollar বা আমেরিকান ডলার। সহজ করে বললে,
যেটাকে আমরা ডলার বলে চিনি।
চলুন দেখে নেই আরও কিছু কারেন্সি পেয়ারঃ
1 AUD/USD = 1.0543 , এর মানে হচ্ছে ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে আপনি ১.০৫৪৩ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 GBP/USD = 1.6422 , এর মানে হচ্ছে ১ পাউন্ড দিয়ে আপনি ১.৬৪২২ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 NZD/USD = 0.8177 , এর মানে হচ্ছে ১ নিউজিল্যান্ড ডলার দিয়ে আপনি ০.৮১৭৭ আমেরিকান ডলার পাবেন
1 USD/JPY = 80.29 , এর মানে হচ্ছে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০.২৯ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।
1 EUR/JPY = 115.91 , এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১১৫.৯১ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।
এখন বুঝলেন কারেন্সি পেয়ারের ব্যাপারটা?
ভাই,
আমি যদি একটু ঘুরায় লিখি? মানে আপনি তো লিখলেন যে, 1 EUR/USD = 1.4434
আমি যদি এভাবে EUR/USD না লিখে USD/EUR লিখি, তাহলে কোনো সমস্যা আছে?
অবশ্যই নেই। তবে মনে রাখবেন, কারেন্সি পেয়ারের প্রথম কারেন্সি নির্দেশ করে তা দিয়ে আপনি কত পরের কারেন্সিটা পাবেন।
1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন।
তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন। উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928
একটা
ছোট্ট পরীক্ষা নেই আপনার, দেখি আপনি কিছু শিখতে পারলেন না। উত্তর মিলিয়ে
নিতে পারবেন, এই পোষ্টের নিচে দেওয়া আছে। সাবধান, উত্তর কিন্তু চুরি করবেন
না!
ধাঁধা ১:
1 EUR/GPB = 0.8708 , এর অর্থ কি? চাইলে উপর থেকে সাহায্য নিতে পারবেন, আর নিচ থেকে উত্তর মিলিয়ে নিতে পারবেন।
একটা
প্রশ্ন এখনও রয়েই গেল, আপনি প্রতিবার দশমিকের পরে এতগুলো সংখ্যা নিচ্ছেন
কেন? যেমন, 1 EUR/USD = 1.4434 লিখেন কেন? 1.44 লিখলেই তো হয়। শেয়ার
মার্কেটে তো এই দশমিকের ভেজাল নাই, সব শেয়ারের মূল্য হয় ২০ টাকা, নয় ৬০
টাকা নতুবা হয়ত ১২০০ টাকা। কোনদিন তো শেয়ারের দাম ২০.২৫৪৩ তা শুনি নাই।
এত ভেজাল কেন?
প্রথমত ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি
পেয়ার হচ্ছে দুইটা কারেন্সির অনুপাত। যেমন, EUR/USD এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো
দিয়ে কত ডলার পাব। শেয়ার মার্কেটে তো আর আমরা ১ টা জনতা ব্যাঙ্কের শেয়ার
দিয়ে মেঘনা সিমেন্টের কয়টা শেয়ার পাবো তা এর হিসাব করি না। আর তাই,
আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে অধিকাংশ শেয়ারের দাম পুরন সংখ্যায়, তবে
কিছু শেয়ারের দাম দশমিকে।
এর ফরেক্স মার্কেটে দশমিকের পর
৪ তা ঘর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কারন ফরেক্স মার্কেটে সাধারনত মুভমেন্ট
দশমিকের পরে ৩ আর ৪ নাম্বার ঘরেই বেশি হয়। তাই এটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা
হয়েছেঃ
চলুন দেখে নেই এক নজরে ৬ জুন থেকে ১০ জুন, ২০১১ , এই ৫ দিন এ EUR/USD এর মূল্য:
EUR/USD
তারিখ - দিনের সর্বোচ্চ - দিনের সর্বনিম্ন
৬ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৫৮ - ১.৪৬৫৮
৭ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৪ - ১.৪৬৯৬
৮ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৫ - ১.৪৬৯৫
৯ জুন, ২০১১ - ১.৪৪৭৮ - ১.৪৬৫৩
১০জুন, ২০১১ - ১.৪৩২৩ - ১.৪৫৫১
দেখতেই পাচ্ছেন যে মার্কেট যা মুভ করছে তা মূলত দশমিকের পরে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ঘরে হচ্ছে।
[ধাঁধা ১ উত্তর: 1 EUR/GPB = 0.8708 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি 0.8708 পাউন্ড পাবেন]
PIPS (পিপস):
ফরেক্স
মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪থ সংখ্যার প্রতি এক একক
পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর
বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে
১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে
আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।
পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।
উদহারন ১:
আপনি
আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন
করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ ।
কয় পিপস পরিবর্তন হল?
বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ - ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫
আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ
৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫
অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।
তাহলে এবার বলুন,
উদহারন ২:
GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?
৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।
আরও কিছুঃ
মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)
আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ - ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ - ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ - ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ - ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ
ধাঁধা ২:
EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০।
মার্কেট কত পিপস মুভ করল?
যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা -
ফরেক্স
মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন
ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০
পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।
Pipettes
কিছু
কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম
ডিজিট তাই হল পিপেটি। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে
বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটিস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে।
ভলিউম
লট
ব্যাপারটি অনেক সহজ। কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার
কাছে জটিল মনে হবে। তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে
বোঝানোর চেষ্টা করবো। ইউনিটের ক্যালকুলেশন জানতে বেবীপিপসে দেখুন।
ফরেক্স
মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০
থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা
নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের
কি পরিমান লাভ বা লস হবে।
ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি।
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার
মিনি লট ব্রোকার
মাইক্রো লট ব্রোকার
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস।
তারমানে,
আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং
১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০. অনুরুপ লস
হলেও $১০০ হবে।
কিন্তু,
আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস
আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০. অনুরুপ লস হলেও $১০
হবে।
আর, আপনি মাইক্রো
লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার
অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১. অনুরুপ লস হলেও $১ হবে।
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারেঃ
১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস
০.১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস
০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস
১০ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০০/পিপস
মিনি লট ব্রোকারেঃ
১ মিনি লট = $১/পিপস
০.১ মিনি লট = $০.১০/পিপস
০.০১ মিনি লট = $০.০১/পিপস
১০ মিনি লট = $১০/পিপস
মাইক্রো লট ব্রোকারেঃ
১ মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস
০.১ মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস
০.০১ মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস
১০ মাইক্রো লট = $১/পিপস
নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য। ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে।
অধিকাংশ
ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ,
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০
সেন্ট। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১
সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১
সেন্ট। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা
মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন।
শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন।
কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?
Hot
forex মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। Fxpro ,
FxCM ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। Morgan, Ducascopy ইত্যাদি
ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি
মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে
প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে
একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে
প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে,
তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা
মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে
একেক রকম লট সাইজ থাকে।
টাইমফ্রেম
টাইমফ্রেমের
মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১
মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি। যদি
আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবোঃ
কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছে
কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছে
প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল
প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিল
সাধারনত
নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া
আছে। কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরো কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে
পারবেন।
M1
M5
M15
M30
H1
H4
D1
W1
MN
আপনি কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের কোন ১টি ক্যানডেল দেখলেই বুঝতে পারবেন ঐ সময়ে প্রাইসের মুভমেন্ট কেমন হয়েছিল
স্প্রেডঃ
আপনি
একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই
স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা
চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।
আপনি
ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩
পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে
থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।
বিভিন্ন
পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি
হতে পারে। যেমন Fxpro এ EURUSD এর স্প্রেড 2+ পিপস। কিন্তু HotForex এ
EURUSD এর স্প্রেড ১.৫ পিপস এর কম। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড 15 পিপস
পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড
কত তা দেখা নেয়া উচিত।
স্টপ লস এবং টেক প্রফিটঃ
স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
টেক
প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি
কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
ধরুন,
আপনি ১.৩৫৪০ তে একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। আপনি চাচ্ছেন ৫০ পিপস লাভ
করবেন এবং ৫০ পিপসের বেশি লস করবেন না। তাহলে আপনি ৫০ পিপস স্টপ লস এবং ৫০
পিপস টেক প্রফিট সেট করে রাখতে পারেন। আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলে বা কোন
স্পাইকের ফলে হঠাৎ প্রাইস বেড়ে বা কমে গেলে, স্টপ লস বা টেক প্রফিটের
প্রাইসে অটোমেটিক ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।
পেয়ার:
ফরেক্স
ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়।
কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা
হয়।
উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.
আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।
মনে
করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে।
এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি
করে।
প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
নিচের
কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই
কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান
পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা
হয়।
এই পিয়ার গুলো দিয়ে সব চেয়ে বেশিট্রেড করা হয়
প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ
ইউ.
এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু
ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও
পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে - EUR, GBP এবং JPY
থেকে।
লাভ/লস
ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।
একটি
ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক
মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে
পারবেন।
মনে করুন
আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে EUR/USD - তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার
দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি
$১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।
এক্সচেঞ্জ
রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ
USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস
ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১ ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।
কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়
প্রতিটি
ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই
ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ
স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কিউটো (quote) কারেন্সি।
এখানে GBP হল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কিউটো (quote) কারেন্সি।
বাই
(buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার
জন্য কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড
কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।
সেল (sell)
করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত
ইউনিট কিউটো কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি
করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন।
বেস কারেন্সি হল
বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস
কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কিউটো কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ
কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।
আপনি কারেন্সি পেয়ারটি
বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস
কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কিউটো
কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।
মানি ম্যানেজমেন্ট
চলুন
এবার আমরা মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলাচনা করি। মানি
ম্যানেজমেন্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ফরেক্স ট্রেডাররা তাদের
অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করে থাকে।
ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরী।
একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টকে সর্বদা লস থেকে রক্ষা করতে
সাহায্য করে। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করলে আপনার ক্যাপিটাল
হারানোর সম্ভাবনা খুব কম।
ভাল মানি ম্যানেজমেন্টের কিছু নিয়ম রয়েছেঃ
১. অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ নিয়ে রিস্ক নিনঃ
অ্যাকাউন্টের
ছোট পার্সেনটেজ রিস্ক নেয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কারন হচ্ছে আপনাকে আপনার
অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে
হবে, তারপর প্রফিটের কথা ভাবতে হবে।
ভালো ট্রেডার তারাই যারা তাদের অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে সচেতন।
যদি আপনি কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করেন তবে কোন ট্রেডে আপনার লস অনেক বেশী হলেও চাইলে আপনি আপনার ট্রেডটিকে হোল্ড করতে পারবেন।
ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট পার্সেনটেজের কম এবং বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেডের একটি উদাহরন নিচে
দেখা যাক।
দেখুন টানা ১০টি ট্রেডে লস আপনার অ্যাকাউন্টের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে।
স্পষ্টতই
বোঝা যাচ্ছে ২% রিস্ক এবং ১০% রিস্কের মধ্যে পার্থক্য। কেউ সহজে টানা ১০টি
ট্রেড হারেনা। যদিও আপনি সবচেয়ে খারাপ ট্রেড করেন, তবুও ২% রিস্ক নিলে
আপনি ১০টি ট্রেডে হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ১৭% হারাবেন, যেখানে প্রতি
ট্রেডে ১০% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেড হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ৬০%
এর বেশী হারাবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছেন মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। আপনি
যদি ঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারেন তবে আপনি ব্যাপক লসের
সম্মুখিন হতে পারেন।
ট্রেন্ড ৩ রকমঃ
• আপট্রেন্ড (higher lows)
• ডাউনট্রেন্ড (lower high)
• সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)
আপট্রেন্ডে
মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট
নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট
একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না
করাই ভাল।
ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ
•
অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন
আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
• সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
• জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।
নিউজ কিভাবে বুঝবেন
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করবো। কিন্তু কিছুই তো বুঝিনা। নিউজ দেখে এর প্রাইসের মুভমেন্ট থেকে মেন্টাল হয়ে যাচ্ছি।
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস - করলেও প্যারালাইসিস, না করলেও প্যারালাইসিস।
আমরা আপনাকে কিছু বেসিক জিনিস বোঝার জন্য সাহায্য করতে পারি।
প্রথমে আমরা Formula টি দেখবো।
Halifax HPI m/m এই নিউজের ক্ষেত্রে Formula হলঃ
Actual > Forecast = Good for currency
এখন আমরা জানবো Actual, Forecast এবং Previous কি?
Forecast দিয়ে বোঝায় এবার ধারনা করা হচ্ছে যে নিউজটির রেসাল্ট 0.5% আসতে পারে। আর Actual হল এবার যে ফলাফল আসবে।
Actual এ এবার যে ফলাফল আসবে, তা পরবর্তী নিউজে Previous হিসেবে গণ্য হবে।
এখন আমরা আবার আমাদের ফরমুলায় ফিরে আসি। এখানে বলা হয়েছে, Actual > Forecast = Good for currency.
এটা GBP বিষয়ক নিউজ। তারমানে এবারের Actual এর ফলাফল Forecast (0.5%) থেকে বেশী হলে তা GBP এর জন্য ভাল।
আর যদি Actual এর ফলাফল Forecast থেকে খারাপ আসে, তবে তা GBP এর জন্য খারাপ।
এখানে এবার Actual এসেছে -1.2%. তারমানে Actual < Forecast. তারমানে Bad for currency (GBP).
সুতরাং, এখানে এই ফরমুলা কাজ করবে,
Actual > Forecast = Good for currency
Actual < Forecast = Bad for currency
এখানে,
GBP এর Bad for currency আসায় GBP এর জন্য খারাপ নিউজ। তাই GBP এর
পেয়ারগুলোতে এর ইফেক্ট পড়বে। যেমন, GBPUSD কমতে পারে, EURGBP বাড়তে পারে
ইত্যাদি। কিন্তু সবসময় যে নিউজ এর ইফেক্ট হয় তা কিন্তু নয়, অনেক সময়
বিপরীত ইফেক্টও হয়ে থাকে।
নিউজ ইম্প্যাক্ট
প্রতিদিন
ফরেক্সের অনেক নিউজ, জব রিপোর্ট, স্পিচ প্রকাশিত হয়। এগুলো মার্কেটকে
প্রভাবিত করে। তাই অনেকেই এই নিউজগুলো টার্গেট করে ট্রেড করে। কিন্তু
আমাদের কি সব নিউজই ট্রেড করা উচিত? সব নিউজের প্রভাব বা ইম্প্যাক্ট সমান
নয়। দেখা যাক কি কি ধরনের নিউজ আসে।
ফরেক্সের নিউজের
জন্য সবাই প্রধানত FOREXFACTORY.COM অনুসরন করে থাকে। কারন তারা সবচেয়ে
ভাল নিউজ প্রকাশ করে থাকে এবং সবার আগে প্রকাশ করে। আপনি সেখানে প্রতিটি
নিউজের পাশে ওপরের ৪টি চিহ্নের একটি দেখতে পাবেন। সুতরাং, চিহ্ন দেখলেই
আপনি বুঝতে পারবেন ওই নিউজের প্রভাব কি হবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে
পারবেন। হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ দ্বারা বোঝায় যে তা মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব
ফেলতে পারে। মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব তুলনামূলক কম হয়। লো
ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব একেবারেই কম। সাদা চিহ্ন দিয়ে বোঝায় এই
নিউজটি ইকোনমিক নিউজ নয়, যেমন- ব্যাংক হলিডে। যেহেতু লাল হাই ইম্প্যাক্ট
এবং কমলা মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলো মার্কেটে বেশী প্রভাব ফেলে, তাই
আপনি সেগুলো ট্রেড করতে বা সেগুলো মার্কেটে কি রকম প্রভাব তৈরি করতে পারে
তা জেনে রাখতে পারেন।
ওপরের ছবিতে
দেখুন। ECB President Trichet Speaks এবং Manufacturing Production m/m এই
নিউজ ২টি হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ। এগুলো মার্কেটকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে।
BOJ Monthly Report হল মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজ। Household Confidence এবং
Economy Watchers Sentiment হল লো ইম্প্যাক্ট নিউজ, যার প্রভাব মার্কেটে
খুব একটা বেশী হবে না।
কোন নিউজ কোন কারেন্সিকে প্রভাবিত করে
প্রতিটি
নিউজের সামনে লেখা থাকে নিউজটি কোন কারেন্সির জন্য। যেমনঃ RBA Assist Gov
Debelle Speaks নিউজটির রেজাল্ট ভাল বা খারাপ আসলে তা AUD পেয়ারকে
প্রভাবিত করবে। আবার French CPI m/m নিউজটির রেজাল্ট EUR পেয়ারকে প্রভাবিত
করবে।
কোন সময়ে কোন পেয়ার ট্রেড করবেন ?
ফরেক্সে
ট্রেড করার একটা সুবিধা হল সপ্তাহে ৫ দিন ( শনি ও রবিবার বাদে ) ২৪ ঘণ্টাই
মার্কেট খোলা থাকে । যেখানে প্রতিদিনের ট্রেডিং তিনটি সেশন এর মাধ্যমে
সম্পন্ন করা হয় । যথা – ইউরোপিয়ান , আমেরিকান , এশিয়ান সেশন । যা আবার
লন্ডন , নিউ ইয়র্ক ও টকিও বা সিডনি সেশন নামেও পরিচিত । কারন ফরেক্সে
লেনদেন এক জায়গা বা একয়ই সময়ে হয় না ।
যখন লন্ডন ট্রেডাররা
ট্রেডিং থামিয়ে দেয় তখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে । আবার
যখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং থামিয়ে দেয় তখন সিডনি ট্রেডাররা
ট্রেডিং শুরু করে ।
বিভিন্ন ট্রেডিং সেশন এর বৈশিষ্ট্যঃ প্রত্যেকটা ট্রেডিং সেশন এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।
আবার যখন কোন নির্দিষ্ট দেশের সেশন চালু থাকবে তখন ঐ দেশের কারেন্সির লেনদেন বেশি পরিমানে হবে ।
উদাহরণ
স্বরূপ যদি এশিয়ান সেশন খোলা থাকে তবে জাপান এর কোম্পানি গুলো অন্যান্য
দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে জাপান এর কারেন্সি ইয়েন এর লেনদেন
বেশি হবে , আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন খোলা থাকবে তখন ইউরোপ এর বিভিন্ন
দেশের কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে ইউরোপ
এর কারেন্সি ইউরো এর লেনদেন বেশি হবে । আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন বন্ধ হয়ে
যায় তখন ঐ দেশের কোম্পানি গুলো লেনদেন কমিয়ে দেই , ফলে ইউরো এর লেনদেন
কমে যায় ।
সুতরাং একটি নির্দিষ্ট দেশের কারেন্সির লেনদেন, মুভমেন্ট এর পরিমান একটি নির্দিষ্ট সেশন খোলা বা বন্ধের জন্য প্রভাবিত হতে পারে ।
ফরেক্স ট্রেডিং সেশন:
আসলে
কোন সেশনই এক সপ্তাহ ধরে খোলা থাকে না । সপ্তাহ সিডনি সেশন দিয়ে শুরু হয়
এবং শেষ হয় নিউ ইয়র্ক সেশন এর মাধ্যমে । বিশ্বে তোমার অবস্থান এর উপর
নির্ভর করে দিন ও সময় আলাদা হবে । এখন তুমি যদি জাপান এ বাস করো তবে দিন
শুরু হবে সোমবার সকাল থেকে । আবার তুমি যদি ইউরোপ এ বাস করো তবে দিন শুরু
হবে রবিবার বিকেল থেকে ।
নিচের টেবিল টি GMT কে অনুসরণ করে বিভিন্ন সেশন এর খোলা ও বন্ধের সময় দেখিয়ে দেবে ।
এই
টেবিল টি GMT কে অনুসরণ করে সময় প্রদর্শন করছে । আপনি প্রয়োজনে এর সাথে
আপনের দেশ এর অবস্থান অনুযায়ী ঘণ্টা যোগ বা বিয়োগ করে ঠিক করে নিতে
পারেন ।
। টকিও ও লন্ডন এর মাঝে ১ ঘণ্টা এবং নিউ ইয়র্ক ও
লন্ডন এর মাঝে ৪ ঘণ্টা সেশন ওভার ল্যাপ হয়ে থাকে । এ সময় সবচেয়ে বেশি
ট্রেডার মার্কেট এ উপস্থিত থাকে । এ সময় মার্কেট খুব লিকুইড থাকে বলে
ট্রেডাররা বেশি পরিমানে ট্রেড করে থাকে । আবার এ সময় স্প্রেড টাও সবচেয়ে
কম থাকে । এ সব কারনে এ সময়টাকে ট্রেড করার জন্য উত্তম বলা যেতে পারে ।
কিছু নির্দিষ্ট সময়ে সতর্কতা অবলম্বনঃ
কিছু কিছু দিন US & UK এর ব্যাংক গুলো ছুটিতে থাকে ।
এ
সময় ট্রেড করা থেকে বিরত থাকাই ভাল । কারন এ সময় মার্কেট মুভমেন্ট সেরকম
হয় না । এ সময় মার্কেট কম লিকুইড থাকে । এ সময় বেশি ট্রেডার মার্কেট এ
অংশগ্রহণ করে না । আবার এ সময় নিউজ গুলো বিশাল আকারে প্রভাব ফেলে । প্রাইস
যে কোন দিকে নিউজ এর প্রভাবে বিশাল মুভ হবে আবার খুব তারাতাড়ি সেই প্রাইস
ফিরে আসবে ।
সুতরাং যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিলিজ হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে । আবার এই বিপদজনক সময় এ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকা যেতে পারে ।
এবার
আপনি , ভেবে দেখুন কোন সময় আপনার জন্য সুবিধা জনক। অনেকেই স্পেশাল কিছু
পেয়ারে ট্রেড করতে পছন্দ করেন , যেমন ধরা যাক AUD/JPY , তবে হ্যাঁ New
York Session এসব পেয়ারে ট্রেড দিলে ভাল ফলাফল নাও পেতে পারেন। আপনার
পছন্দের পেয়ারে দেখে নিন কোন সময় ভাল মুভমেন্ট হয় সেই সময় ট্রেড করুন।
ক্যান্ডেলস্টিক কি
জাপানী
চাল ব্যাবসায়ীরা চাল ট্রেড করতে ক্যান্ডেলস্টিক ব্যাবহার করত। স্টিভ নেলসন
নামক একজন এক জাপানী ব্রোকারের কাছ থেকে ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে জেনেছিল।
স্টিভ পরে ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে রিসার্চ করা শুরু করল এবং
ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে লেখা শুরু করল। পরবর্তীতে ক্যান্ডেলস্টিক ১৯৯০ এর
দিকে জনপ্রিয়তা পেল।
আগে আমরা ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে হালকা ধারনা পেয়েছিলাম। এখন দেখব যে এটা আমাদের কি কাজে লাগে।
এই ছবিটা আমরা আগেও দেখেছি। ক্যান্ডেলস্টিক ২ প্রকারের হয়।
বুল ক্যান্ডেল -যদি ক্লোজিং প্রাইস ওপেন প্রাইসের উপরে থাকে।
বিয়ার ক্যান্ডেল - যদি ক্লোজিং প্রাইস ওপেন প্রাইসের নিচে থাকে।
২
টা ক্যান্ডেলই ওপেন, হাই, লো এবং ক্লোজ এর ভ্যালু দেখায়। এছাড়াও
ক্যান্ডেলে চিকন ও প্রশস্ত অংশ দেখছেন। চিকন অংশটাকে শ্যাডো বলে। শ্যাডো
দেখলে বুঝবেন যে প্রাইস সেই পর্যায়ে গিয়ে ফেরত এসেছে। প্রশস্ত অংশটিকে বডি
বলে। বডি আপনাকে দেখায় যে, প্রাইস কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় যেয়ে থেমেছে।
চলুন উপরের ছবির বুল ক্যান্ডেলটিকে ব্যাখ্যা করে দেখি।
• বুল ক্যান্ডেলটি শুরু হয়েছে ছবির ওপেন পয়েন্টে।
• তারপর প্রইস নিচে নেমে লো পর্যন্ত গিয়েছে।
• তারপর প্রাইস উঠতে উঠতে হাই পর্যন্ত উঠেছে।
• তারপর হাই থেকে নেমে প্রাইস ক্লোজ হয়েছে।
• পরবর্তীতে পড়ার আগে আপনি বিয়ার ক্যন্ডেলটা নিজে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন।
বিয়ার ক্যান্ডেলটার ব্যাখ্যা হল প্রাইস ওপেন হয়ে হাই পয়েন্টে গিয়েছে। তারপর লো পয়েন্টে এসে আবার উপরে উঠে ক্লোজ হয়েছে।”
এটা
এখন যদি আপনার কাছে কঠিন লেগে থাকে তাহলে এই নিয়ে মাথা ঘামিয়েন না। সময়ের
সাথে সাথে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক ব্যাবহারে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।
বডি এবং শ্যাডো দিয়ে কি বুঝায়?
চার্টে হরেক রকমের ক্যান্ডেলস্টিক দেখতে পাচ্ছেন। কোনটার বডি বড় আবার কোনটার শ্যাডো বড়। এর মধ্যেও কিছু তথ্য লুকানো আছে।
যদি
বুল ক্যান্ডেলের বডি বড় হয়, তাহলে বুঝবেন যে বাইয়িং প্রেসার বেশি। যদি
বিয়ার ক্যান্ডেলের বডি বড় হয়ে থাকে, তাহলে বুঝবেন যে সেলিং প্রেসার বেশি।
শ্যাডো
আপনাকে ট্রেডিং সেশন সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রদান করে থাকে। যদি ক্যান্ডেলে
শ্যাডো ছোট হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে ট্রেডিং ওপেন অথবা ক্লোজের
কাছাকাছি সংকীর্ন হয়েছে।
যদি ক্যান্ডেলস্টিকে উপরকার
শ্যাডো বড় আকারের হয় আর নিচের শ্যাডো ছোট হয়, তার মানে হল বায়াররা প্রাইস
উপরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেলাররা আবার প্রাইস নিচে নামিয়ে এনেছে।
যদি
ক্যান্ডেলস্টিকে নিচের শ্যাডো বড় আকারের হয় আর উপরের শ্যাডো ছোট হয়, তার
মানে হল সেলাররা প্রাইস নিচে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু বায়াররা আবার প্রাইস
উপরে টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বুঝতে হবে যে বায়াররা ক্লান্ত হয়ে গেছে
আর রিভার্সাল হতে পারে। যদি বিয়ারিশ মুভমেন্টের পরে দোজি ফর্ম করতে দেখা
তাহলে বুঝতে হবে যে সেলাররা ক্লান্ত হয়ে গেছে আর রিভার্সাল হতে পারে।
এই তিনটা জিনিস মানতে পারলে একাউন্ট কখনো জিরো হবে না!!
1) অবশ্যই স্টপ লস এবং টেক প্রফিট দিয়ে ট্রেড করবেন,
2) মানি ম্যানেজমেন্ট
3) নিউজ ইম্প্যাক্ট
============================================================================
Dear sir,
Following are the benefits of our Broker :
হট ফরেক্স এর সুবিধাঃ
1) মিনিমাম ৫ dollar দিয়ে ট্রেড শুরু করা যায়,
2) ১০০% বোনাস সুবিধা যা withdraw করা যায় বোনাস withdraw করতে’’ 1 lot complete করলে 2 dollar back পাবেন,
3) Signal service দেয়া হয়- Skype, mobile, Facebook এ ,এর জন্য মিনিমাম deposit হতে হবে ৫০০ dollar,
4) Micro account এ- লিভারেজ 1000 and others all account এ 400,
5) Free seminar নেওয়া হয় every Friday বিকেল ৩.৩০ - ৫.৩০ পর্যন্ত,
6) Strong রেগুলেসন and security,
7) স্প্রেড 3 dollar,
8) ই সি এন এ মাত্র ৫০০৳ দিয়ে শুরু করা যায়,
9) সুয়াপ ফ্রি ইসলামিক account ,
10) এক্সক্লুসিভ হট ফরেক্স ডেবিট কার্ড ফ্রি
Thanks and Regards
Jannat Rakhi
Cell: 01616-707,909
Skype:- jannat.rakhi2
Gmail- jannat.naum@gmail.com
Facebook= www.facebook.com/fx.jannat2
Web = successlife24.blogspot.com
Office: house no : E 80, level 4, road: 17 A,
Banani, opposite of president Ershad's house.
বি দ : সেমিনার প্রতি শুক্র বার 3.30-5.30 pm
Accaunt opening link = https://www.hotforex.com/en/account-types/new-live-account.html?refid=186460